Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

At a glance

জমি-জমাসহ অন্যান্য সম্পত্তি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে চুক্তি, দলিল-দস্তাবেজ আকারে লিপিবদ্ধ, রেজিস্ট্রি ও স্থায়ীভাবে সংরক্ষনের জন্য কালক্রমে এ অঞ্চলে দলিল ও দলিল রেজিস্ট্রেশন প্রথার উদ্ভব হয়েছে। দলিল রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজনে  ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দে রাজা তৃতীয় জর্জের শাসনামলে সর্বপ্রথম এ অঞ্চলে বঙ্গীয় বিধিবদ্ধ আইন ( The Bengal Statute) প্রণীত হয়। এরপর ১৭৯৩ সনে ৩৬ নং বেঙাল রেগুলেশন, ১৮০২ সনে ৩৬ নং বোম্বে রেগুলেশন, ১৭ নং মাদ্রাজ রেগুলেশন এর মাধ্যমে এর উল্লেখযোগ্য প্রসার ঘটে। এ আইনগুলো ছিল প্রাদেশিক। ১৮৬৪ সনে ১৬ রং আইনের মাধ্যমে প্রাদেশিক আইনের পরিবর্তে সমগ্র ভারত বর্ষে রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে সাধারণ আইন প্রবর্তন করা হয়। ১৯0৮ সনের ১৬ নং আইনে মাধ্যমে বর্তমান রেজিস্ট্রেশন আইন প্রবর্তিত হয়েছে। ১৯৪৯ সালে পাকিস্তান ও ভারত উভয় দেশেই এ আইনটি অভিযোজন করা হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ১৪৯ অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী আইনটি বাংলাদেশে গৃহীত ও বলবৎ রয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৭৩, ১৯৮৫, ১৯৮৭, ২০০২, ২০০৪, ২০০৬, ২০১২ সনে রেজিস্ট্রেশন আইনটি সংশোধিত হয়েছে। আইন,বিচার ও সংসধ বিষয়ক মন্তনালয়ের অধীন ”নিবন্ধন অধিদপ্তরের” নিয়ন্ত্রিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসসমূহ জমির মালিকানা প্রমান স্বরূপ দলিল রেজিস্ট্রেশন এর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সুচারূভাবে সম্পন্ন করার পাশাপাশি বাংলদেশে রাজস্ব আদায়ে বিরাট ভূমিকা পালন করে আসছে। উদাহরণস্বরূপ বিগত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে বাগেরহাট রেজিস্ট্রেশন বিভাগ ২৫,৭৪৪ টি দলিল রেজিস্ট্রি বিপরীতে ৯১,৬০,৪৫,৮৫২/ টাকা রাজস্ব আহরণ করেছিল। ভবিষ্যতে আরো দক্ষ ও সুন্দরভাবে  বাগেরহাট রেজিস্ট্রেশন বিভাগ তার দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ।